শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্টারের দৌরাত্বে অতীষ্ঠ পৌরবাসী

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 14.08.2018 - 02:44 AM
Share icon
  এসডি সোহেল রানা, শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ শেরপুরের শ্রীবরদীর পৌর শহরের অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্টার আব্দুল হাইয়ের একের পর এক ভূয়া আর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে স্বর্বশ্বান্ত হচ্ছে অনেকে । ভূয়া কাবিননামা আর একাধিক নকল প্রদানে মামলাসহ নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন অনেকে। এসব অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।   তথ্য সূত্র মতে, শ্রীবরদী পৌর শহরে নিকাহ রেজিষ্টার ছিলেন আব্দুল হাই। তিনি নানা অনিয়ম আর দুর্নীতি ও বয়োবৃদ্ধের কারণে কর্তৃপক্ষ তাকে অবসর দেন। এরপর পদটি শূন্য হয়। এ শূন্যপদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তাতিহাটি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার শামীম মিয়া। পরবর্তীতে ওই পদে নিয়োগ পান মাহমুদুল হাসান। এদিকে নিকাহ রেজিষ্টার আব্দুল হাইয়ের সম্মতিতে তার ছেলে আবু হানিফ বহাল তবিয়তে নিজেদের নিকাহ রেজিষ্টার দাবি করে বিয়ে কাবিন ও নকল প্রদান করে আসছে।   তাতিহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণষাইটকাকড়া গ্রামের সৈয়দুর রহমানের ছেলে আহছানুজ্জামানের লিখিত অভিযোগ প্রকাশ, পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বাঘেরভিটা গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে নার্গিস আকতার (২২) কে দু’লাখ টাকা মোহরানা করে গত ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। এতে নিকাহ রেজিষ্টার ছিলেন পৌর শহরের মাহমুদুল হাসান। বিয়ের পরই তাদের মধ্যে দেখা দেয় পারিবারিক কলহ।   এরই জের ধরে নার্গিস আকতার বাদী হয়ে আহছানুজ্জামানসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং সিআর ৯২/১৮। জরিমানার মাধ্যমে এ মামলা আপোষ ও বিচ্ছেদও ঘটে তাদের মধ্যে। মামলাটি প্রত্যাহার করেন নার্গিস আকতার। পরে নার্গিস আকতার গত ৩০ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে আবারো যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নকল প্রদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্টার আব্দুল হাই। তাদের বিয়ে দেখানো হয়েছে গত ১৫ জানুয়ারি। মোহরানা ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯শ ৯৯ টাকা। স্বাক্ষী নার্গিস আকতারের বাবা ও ভাই। ওই মামলায় বাদ পড়েনি আহছানুজ্জামানসহ তার পরিবারের বৃদ্ধ মা থেকে অন্যত্র বিবাহীত মেয়েরাও তার মতো আরো অনেকে ওই অবসরপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্টারের গ্যাড়াকলে পড়ে হচ্ছেন হয়রানীর শিকার।   তাতিহাটি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্টার শামীম মিয়া জানান, তিনি কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্টারের দায়িত্বে ছিলেন। পদ শুন্য হওয়ায় নতুন নিকাহ রেজিষ্টারের নিয়োগ পায় মাহমুদুল হাসান। ওই নকল প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে আবু হানিফ জানান, এ ব্যাপারে কোর্টে মামলা চলমান। তবে মামলা কোনো কপি দেখাতে পারেনি তারা।   জেলা নিকাহ রেজিষ্টার সমিতির সভাপতি খাবিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হাই নিকাহ রেজিষ্টার থেকে অনেক আগেই অবসর হয়েছেন। বিষয়টি জেলা সাব রেজিষ্টারকেও জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিষয়টি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগিসহ সচেতন মানুষরা।
Share icon