এসআই এর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে ধর্ষণের অভিযোগে শেরপুর আদালতে মামলা
মোহাম্মদ দুদু মল্লিক ঝিনাইগাতী, শেরপুর প্রতিনিধিঃ আজ বৃহস্পতিবার ১৫ অক্টোবর শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে এক নারী(২২)।
মামলার ধারা ২০০০ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী/০৩)এর ৯(১)। মামলা নাম্বার ২৮৯/২০২০।
অভিযুক্ত মোঃ সবুর উদ্দিন শেরপুর জেলার নকলা থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতারুজ্জামান বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন।
মোঃ সবুর উদ্দিনের বাড়ী নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা শ্যামগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকায় জনৈক আব্দুল হাই এর ছেলে।
মামলা সুত্র বাদী পক্ষের আইনজীবি মুকলেছুর রহমান আকন্দ জানান, ২০১৭ সালে নালিতাবাড়ী থানায় ওই বাদীর করা একটি শ্লীলতাহানীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন নালিতাবাড়ী থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর সবুর। মামলার তদন্ত করার সুবাধে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘনিষ্ঠতার এক পর্যায়ে বাদীর স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ভিকটিমকে বিবাহ করবে এমন প্রতিশ্রুতি ও আস্থা সৃষ্ঠি করে অপরিচিত দুজন লোক নিয়ে নীল কাগজে লেখালেখি করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায়।
১৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অভিযুক্ত সবুর ওই ভিকটিম সাজানো স্ত্রীকে নিয়ে নালিতাবাড়ী পৌরশহরের গড়কান্দা কলিমদ্দিনের বাড়ী ভাড়া নিয়ে স্বামীস্ত্রীর ন্যায় বসবাস করতে থাকেন।
পরে সবুর নকলায় থানায় বদলী হয়ে গেলে চলতি মাসের ১ তারিখে নকলা থানায় গিয়ে বাদীর ভরনপোসন দাবী করলে সবুর ভিকটিমকে বিবাহ করে নাই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। ভিকটিমের দাবী সবুর প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে।
পিবিআই (জামালপুর-শেরপুর)এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর(এডমিন)সৈয়দ মইনুল হোসেন জানিয়েছেন, এখনও কাগজ পায়নি। কাগজ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
