শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারুনী স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
বুধ, 30.03.2022 - 12:17 PM
Share icon
Image

৩০ মার্চ বুধবার শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী গড়জরিপা কালীদহ সাগরে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের বারুনী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী বৈদিকমন্ত্র উচ্চারণসহ সাগরের পূণ্য সলিলে অবগাহন করেন।

এ সময় পূণ্যার্থীগণ পূর্ব পুরুষের আত্মার শান্তির জন্য তর্পন করেন। স্নানার্থীদের বিশ্বাস এ পূণ্য সলিলে অবগাহন করলে মনের সকল কুটিলতা, সংকীতনতা ও পাপ মোচন হয়। স্নান শেষে পূণ্যার্থীগণ সাগরপাড়ে অনুষ্ঠিত গঙ্গাপূজা ও সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শত শত ভক্তকুল ও পূণ্যার্থীরা অংশ নেয়। 

করোনার কারনে গত দুই বছর বারুনী স্নান বন্ধ থাকায় এবার শেরপুর জেলাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের পূণ্যার্থীদের সমাগম হওয়ায় তীল ধারনের স্থান নেই ।

Image

পূণ্যার্থীদের সাথে কথা বলে যানা যায়, আনুমানিক দেড় শত বছর আগে কোচ সামন্ত আমল থেকে ঐতিহ্যবাহী গড় জড়িপা মাটির দূর্গ সংলগ্ন কালীদহ সাগরে বারুনী স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ওই কালীদহ সাগর শুকিয়ে যাওয়ায় এর জৌলুস কমে গেছে। এছাড়া পূর্বে এখানে ১৫ দিন ব্যাপী মেলা বসতো। সে মেলাও এখন আর হয়না। তবে এখন স্নানের দিন ভোর থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত চলে এ মেলা।

মেলায় দেশীয় হস্তশিল্প, মাটির খেলনা, বাঁশ বেতের তৈজসপত্র, মুখরোচক খাবারের দোকান নিয়ে পশারীরা ভিড় জমায়। এবার মেলায় উল্লেখযোগ্য পূণ্যার্থীর আগমন ঘটে। কিন্তু মেলাস্থান ও সাগরে যাওয়ার রাস্তাগুলো এক শ্রেণীর ভূ-খাদক অবৈধভাবে দখল করে নেয়ার ফলে মেলায় আগমনকারী আবালবৃদ্ধবনিতাগণ খুবই অসুবিধার সম্মুখিন হন। মেলা ও স্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এবার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্নানে আগত পূণ্যার্থীরা অভিযোগ করে বলেন অন্য কথা। তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পূণ্যার্থীদের গোসল শেষে শেষে কাপড় পরিবর্তনের জন্য নেই কোন ঘর, গোসলের জন্য নেই কোন ঘাট, খাবার পানি ও টয়লেটের নেই কোন ব্যবস্থা। এছাড়াও মেলার মাঠে ধান চাষ মুক্ত করে স্থান বড় করারও দাবি তাদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হলে বাড়বে দর্শনার্থীর সংখ্যা, সমুন্নত থাকবে শেরপুর কালীদহ সাগরের ঐতিহ্য।

Share icon