শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সীমানা নির্ধারণে জটিলতা : একাধিক আপত্তিপত্র জমা

স্টাফ রিপোর্টার
শুক্র, 27.05.2022 - 10:52 PM
Share icon
Image

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের স্বাক্ষরিত ১৩৪ নং স্মারকমুলে শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভাকে দুটি সংরক্ষিত ওয়ার্ড ঘোষনা করেছেন। বিভাজন অনুযায়ী শেরপুর-শ্রীবরদী উপজেলা ও পৌরসভা সহ ২৬টি ইউনিয়নকে ১নং ওয়ার্ড এবং নকলা, নালিতাবাড়ী, ও ঝিনাইগাতী সহ পৌরসভা ও ইউনিয়ন মিলে ৩০টি ইউনিয়নকে ২ নং ওয়ার্ড ঘোষনা করেছেন।

ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হবে সাধারণ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের। শ্রীবরদী, নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার শতাধিক রাজনীতিবিদ এবং জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যাতায়াত ও জনস্বার্থের সুবিধার্থে ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর একাংশকে সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ড ঘোষনার করা হলে জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের জন্য মঙ্গলময় হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কেননা নকলা, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীকে ২নং ওয়ার্ড হিসেবে চূড়ান্তকরণ করলে সাধারণ জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হতে হবে। সেই কারণে শেরপুর, নকলা ও নালিতাবাড়ীর একাংশকে ১নং ওয়ার্ড এবং ঝিনাইগাতী শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর আরেকটি অংশ যুক্ত করে ২নং ওয়ার্ড ঘোষণার দাবি উঠেছে। শুধু তাই নয়, যেহেতু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরকে-১, নকলা-নালিতাবাড়ীকে-২ এবং ঝিনাইগাতী- শ্রীবরদীকে-৩ আসনে বিভক্ত। সংসদ সদস্যও পৃথক, সেই কারণে নকলা-নালিতাবাড়ীতে ঝিনাইগাতী যুক্ত না করে ঝিনাইগাতী- শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর একাংশকে অথবা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও শেরপুরের একাংশকে যুক্ত করে ২নং ওয়ার্ড ঘোষনা করা হলে স্থায়ী সমাধান হবে। নচেৎ রাজনীতিবিদ, জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের পরবর্তীতে যাতায়াতসহ চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে। কাজেই সংরক্ষিত আসন দুটি চূড়ান্তকরণের পূর্বে জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করছেন অভিজ্ঞজনেরা।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রুপালী বলেন, ডিসি মহোদয়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ হওয়ার পর প্রায় শতাধিক আপত্তি পত্র জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা হয়েছে। যাতায়াত ও জনস্বার্থের সুবিধার্থে এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে আমরা আশাবাদী। কিন্তু বাস্তবায়ন না হলে এই সীমানা নির্ধারণের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান।

"বদলী জনিত কারণে আমি ব্যস্ত থাকায় শুনানী সম্ভব হচ্ছেনা। তবে জনপ্রতিনিধিদের আপত্তি থাকায়, পরবর্তী ডিসি সাহেব এসে সীমানা নির্ধারণে শুনানী করেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন বলে জানালেন,শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ।

শেরপুর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক চাঁন বলেন, জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত সীমানা নির্ধারণটি ত্রুটিপূর্ণ। চূড়ান্তকরণের পূর্বে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

Share icon