মানবতা বিরোধী অপরাধে বিচারাধীন মামলার পলাতক আসামী তারা গ্রেফতার

শেরপুর প্রতিনিধি
বুধ, 21.06.2023 - 09:31 PM
Share icon
Image

একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মো. মোখলেছুর রহমান তারা (৭০) কে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার ধোপাখোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪। সে নকলা পৌরসভার কুর্শা বাদাগৈর এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিন  আহম্মদের ছেলে এবং নকলা পৌরসভার সাবেক মেয়র।

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এসময় সে গ্রেফতার এড়াতে ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকেন। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতারে র‍্যাব-১৪ ময়মনসিংহ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে ২১ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় তাকে গ্রেফতার করে। 

র‍্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার (সিনিয়র সহকারী পরিচালক) মো. আনোয়ার হোসেন এর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরের নকলা উপজেলার নকলা হাইস্কুলে 
পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীরা মো. মোখলেছুর রহমান তারা সহ কতিপয় রাজাকারের সহায়তায় ক্যাম্প স্থাপন করেন। তার নেতৃত্বে কতিপয় রাজাকার নকলা গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে ধরে নিয়ে এসে ঐ ক্যাম্পে অমানবিক নির্যাতন ও 
হত্যা করতো। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২১ জুলাই গভীর রাতে তার নেতৃত্বে বিবিরচর গ্রাম থেকে সোহরাব উদ্দিন সহ তার শ্যালক কুদ্দুস এবং কুদ্দুসের চাচাতো ভাই মোবারক আলীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তাদের হত্যা সহ বাড়ীঘর আগুন দেয়।

এরপর ১৯৭১ সালের ২৭ আগস্ট বিকালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. শাহজাহান আলী সজু নামাজ শেষে নকলা বাজারের দিকে আসার পথে তারার নেতৃত্বে তাকে জোরপূর্বক  টর্চার সেলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। এরই প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বিরুদ্ধে হত্যা,গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার ১১/২০১৬। 

এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মো. 
মোখলেছুর রহমান তারা আমাদের হেফাজতে আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে সপোর্দ করা হবে।

Share icon