শেরপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
সোম, 18.09.2023 - 08:33 PM
Share icon
Image

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মিথ্যা মামলা, ষড়যন্ত্র ও হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে উপজেলার ১০ নং গড়জরিপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ জলিলের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিল। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নিরপেক্ষতা ও সততার সাথে ইউনিয়নের নাগরিকগনকে সেবা দিয়ে আসছেন এবং সকল প্রয়োজনে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। নির্বাচনে পরাজিত একাধিক মহল এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে নানাভাবে তাকে হয়রানি ও বাধাগ্রস্ত করছে। তারা অত্র ইউনিয়নের গড়জরিপা গ্রামের মোঃ রুস্তম আলীর স্ত্রী মোছাঃ ছালেহা খাতুনকে বাদী করে বিজ্ঞ সি.আর আমলী আদালত, শ্রীবরদী, শেরপুর এঁর আদালতে একটি সি.আর মামলা দায়ের করিয়েছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এবং আমার পরিবারকে হেয় করতেই ষড়যন্ত্রমূলক এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে যাতে আমার দুই ছেলে শাকিল আহমেদ এবং অপর চাকুরীজীবি ছেলে সাব্বির আহমেদকেও বিবাদী করা হয়েছে।উক্ত মামলার বাদী এবং সকল সাক্ষীগণ সকলেই ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থ বছরে ডি.ডব্লিও.বি চক্রে কার্ডধারী সদস্য হিসেবে নিয়মিত সুবিধা ভোগ করে আসছেন। অথচ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে তাদের কাছে নাকি আমার দুই ছেলে টাকা নিয়েছে এবং তাদের কার্ডের প্রাপ্য চাউল আমি নাকি আত্ত্বস্বাত করেছি!

ইতিমধ্যে ১,৩,৫,৭ নং সাক্ষীগণ এফিডেভিট মূলে জানিয়েছেন যে, তারা মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং তারা নিয়মিত তাদের কার্ডের বরাদ্দের চাল পেয়ে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, "তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং আমাকে হেয় করতে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এতে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি একটি কুচক্রী মহলের হয়রানির শিকার হচ্ছি। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এমারুল জাহিদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাইফুল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ্জামান সহ সকল ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার সাক্ষী আকলিমা বেগম, রাবিয়া আক্তার রেশমী ও সুফিয়া বেগম জানান, তারা মামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না, তারা নিয়মিত প্রতিমাসের চাউল পেয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের কাছে থেকে কেউ কোন টাকা নেয়নি এবং টাকা দাবিও করেনি। মামলার বাদী ছালেহা খাতুনের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Share icon