শেরপুরে বিএনপির ৫ নেতা আটক, পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার
বুধ, 03.01.2024 - 09:11 PM
Share icon
Image

শেরপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতামূলক করমকাণ্ডের অভিযোগে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকা থেকে তাঁদেরকে আটক করে সদর থানার পুলিশ। 

এ সময় এলাকাবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আহত হন দুইজন পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ও তিন রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর নেতৃত্বে বিএনপির ৫০-৬০ জন করমী-সমর্থক আসন্ন সংসদ নিরবাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরির নামে নাশকতামূলক করমকাণ্ডের লক্ষ্যে শেরপুর সদর উপজেলার হরিণধরা এলাকায় সমবেত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে সদর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিএনপি নেতা হযরত আলীসহ পাঁচজনকে আটক করে। এসময় হরিণধরা ও আশপাশের গ্রামের শতাধিক লোক ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং হযরত আলীকে পুলিশের হেফাজত থেকে  ছিড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।

এদিকে সংবাদ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সারকেল) সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ ১৭ রাউন্ড শটগানের গুলি ও তিন রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বিএনপি নেতা হযরত আলীসহ পাঁচজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "হযরত আলীর  নেতৃত্বে সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রস্তুতিকালে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক হযরত আলীকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক অন্য চারজনের নাম জানাতে পারেননি তিনি। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।"

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন করার আহবান জানিয়ে শেরপুরে বিএনপির উদ্যোগে প্রচারপত্র বিতরণ ও শান্তিপূর্ণ গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় হযরত আলীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার বিকেলে হরিণধরা এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগকালে পুলিশ তাঁকে আটক করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হযরত আলীসহ আটক সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তিনি।

Share icon