শেরপুর-৩ আসনের গামছা প্রতীকের প্রার্থী সকল এজেন্ট প্রত্যাহার করেছেন
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের গামছা প্রতীকের প্রার্থী এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সভাপতি সুন্দর আলী তার সকল এজেন্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে আজ ৬ই জানুয়ারি শনিবার বিকেলে জেলারিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।
তিনি জানায়, তার দলের জেলা শাখার সভাপতি জুবাইদুল ইসলাম বাবু তার সকল এজেন্ট অন্য কোন প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পায়তারা করার অভিযোগের পেয়ে তার সকল এজেন্ট প্রচার করে নিয়েছি। তবে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।
গামছা প্রতীকের প্রার্থী সুন্দর আলী জানায়, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি জুবায়দুল ইসলাম বাবু আমাকে শেরপুর-৩ আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী করার পর থেকেই বলে যাচ্ছে নির্বাচনের সকল খরচ প্রদান করা হবে। অথচ আজ পর্যন্ত কোন খরচপাতি না দেওয়ায় আর্থিক ভাবে আমি অনেক ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিকে দলের সভাপতি বাবু তার আসনের সকল এজেন্ট এর তালিকা তার কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে নেয় এবং অন্য কোন প্রার্থীর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার পায়তারা শুরু করে। এ খবর পেয়ে আমি আমার সকল এজেন্ট প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম এর বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেছি। আমি এজেন্ট ছাড়াই নির্বাচন করবো।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন চন্দ্র পাল জানায়, আমাদের প্রার্থীকে নির্বাচনের খরচ দেয়ার কথা বলে জেলা সভাপতি জোবাইদুল ইসলাম বাবু শুরু থেকে আশ্বাস দিয়ে আসলেও অদ্যাবধি কোন খরচ দেইনি। উল্টো আমাদের সকল এজেন্টের তালিকা নিয়ে তিনি অন্যত্র বিক্রি করার পাঁয়তারা করেছেন। তাই তার সকল এজেন্ট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি জুবাইদুল ইসলাম বাবু জানায়, আমাদের প্রার্থীর অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। তাকে ইতিমধ্যে পোস্টার ও অন্যান্য খরচাপাতি দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যে অভিযোগ দেয়ার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম সাংবাদিকদের জানায়, আমি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।
