ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ সংলগ্ন কাঁচা বাজার নিয়ে মিথ্যা মানববন্ধনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
বুধ, 28.02.2024 - 04:45 AM
Share icon
Image

শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র ব্রীজ সংলগ্ন কাঁচা বাজার নিয়ে একটি স্বার্থন্বেষী মহল কতিপয় গ্রামবাসীকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভেরিবাঁধ নির্মাণের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এবং সমবেত করে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে শেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মিথ্যা মানববন্ধন এর অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের একটি স্বার্থন্বেষী মহল জনৈক মোঃ ময়নাল হককে দিয়ে সাতপাকিয়া ব্রীজ সংলগ্ন কাঁচা বাজার ইজারা প্রত্যাহার করার দাবিতে ওই গ্রামের কতিপয় লোকজনকে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে নিয়ে গিয়ে অবৈধ ইজারাদার প্রত্যাহার এবং বাজারে কৃষকদের নিয়ে আসা এক খাঁচা সবজি ৩০০ টাকা বিক্রির ১৫০ টাকা ইজারাদারকে দিতে হয় এমন মিথ্যা কথা মানববন্ধনের ব্যানারে লিখে তারা মানববন্ধন করে।

ওই সময় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন মোঃ ময়নাল হক। এছাড়াও চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আকবর আলী ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম মুলুকে ইজারাদার হিসেবে তাদের শাস্তি দাবি করেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে একদল গণমাধ্যমকর্মী ওই কাঁচা বাজারের প্রতিবেদন করতে গিয়ে সরেজমিনে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন। এদিকে অভিযোগকারী মোঃ ময়নাল হক চেয়ারম্যান আকবর আলী ও তার ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম মুলুকে ইজারাদার হিসেবে আখ্যা দিলেও ওই বাজারের প্রকৃত ইজারাদার হচ্ছেন মোঃ কুতুব উদ্দিন। 

এব্যাপারে বাজারের ইজারাদার অভিযোগ করে বলেন, কোন কৃষকের কাছ থেকে নির্ধারিত ১০ টাকার বেশি নেয়া হয় না এবং বাজারে আসা কোন কৃষক অত্যাচারিত হয়নি। বরং সাতপাকিয়া গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়াও হয় না এবং দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে। তবে একটি কুচক্রী মহল গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ এই বাজারকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

Share icon