শেরপুরে নিহত ফজলুল হক পরিবারের দাবি- পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড

শেরপুর প্রতিনিধি
রবি, 11.05.2025 - 06:26 PM
Share icon
Image

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী মুন্সীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের নিহত ফজলুল হক পরিবারের দাবি বিগত বেশ কয়েক বছর পূর্বে ইউপি নির্বাচনী জেরসহ বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই গত ৩ মে দিবাগত রাতের কোন এক সময় একদল দুর্বৃত্ত ফজলুল হক (৪৫) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে একই গ্রামের মৃত মইশ শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলামের কাঠ বাগানের একটি মেহগনি গাছে ঝুলিয়ে রাখে। নিহত ফজলুল হক সদর উপজেলার মুন্সীরচর গ্রামের মৃত সমেস উদ্দিনের ছেলে। এঘটনায় সদর থানার পুলিশ ৪ মে একই গ্রামের জনৈক মিষ্টার আলীর স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। 

মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মুন্সীচর গ্রামের সমেস উদ্দিনের ছেলে ফজলুল হক পেশায় একজন কৃষক হলেও সে এলাকায় মানুষের সামাজিক কর্মকাণ্ডে কাজ করতেন। ঘটনার দিন ৩ মে রাত ১০টার দিকে একই গ্রামের আব্দুস সামাদের দুই ছেলে মিষ্টার আলী ও জিন্নাহ ফজলুল হকের বশত ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে আর ফজলুল হক বাড়িতে ফিরে যায়নি। পরদিন ৪ মে রোববার সকালে এলাকাবাসী ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের কাঠ বাগানের একটি মেহগনি গাছে গলায় রশি পেচানো বুলন্ত অবস্থায় ফজলুল হককে দেখতে পান এবং তার পুরুষাঙ্গ কর্তন ও তল পেটে কাটা জখমসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম। পরে পরিবারের লোকজন শেরপুর সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফজলুল হকের লাশ উদ্ধার করে সূরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। সেই সাথে মিষ্টার আলীর স্ত্রী সাজেদা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এঘটনায় ৪ মে শেরপুর সদর থানায় ফজলুল হকের ছেলে মোঃ ইমরান ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যার মামলা নং- ১১। এদিকে গ্রেফতারকৃত সাজেদা বেগম বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবান বন্দি দিয়েছেন।
অপরদিকে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং সেই সাথে আরো নিবিরভাবে এ হত্যা মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।  
এছাড়াও নিহত ফজলুল হকের পরিবারের এমনটাই দাবি যে, সাজেদা বেগমের একার পক্ষে এ হত্যাকাণ্ডের কাজ সম্ভব নয়। তারা সন্দেহ করছেন সাজেদা বেগমের স্বামী মিষ্টার আলী তার ভাই জিন্নাহসহ অপরাপর ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে এবং তাদের কেউ আসামী করে আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার চেয়েছেন।

Share icon