জামায়াত নেতা পরিচয়ে মিথ্যা মামলার অভিযোগে শেরপুরে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
শনি, 13.09.2025 - 08:55 PM
Share icon
Image

শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ধানুরপাড়া গ্রামে জামায়াত নেতা পরিচয় ব্যবহার করে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগে বিক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শেরপুর–জামালপুর সড়কের ধানুরপাড়া অংশে নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গ্রামের মো. আমীর উদ্দিনের ছেলে বাবুল মিয়া রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য একসময় জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতা পরিচয় দিয়ে গ্রামের মানুষকে নানা উপায়ে হয়রানি করে আসছেন।

গ্রামবাসীর দাবি, গত ১৯ জুন একই গ্রামের ছমির উদ্দিনের কিশোরী কন্যা মিনারাকে কুপ্রস্তাব দেন বাবুল মিয়া। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকের পরও বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা মিনারার পিতা হাবুল মিয়া ও চাচা জামাল উদ্দিনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী মোছাঃ আওলিয়া বেগম ২৪ জুন শেরপুর সিআর আমলী আদালতে হত্যা প্রচেষ্টা মামলা (মামলা নং- সিআর ৭৯৩) দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই মামলা আড়াল করতে বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা বাদী পরিবারসহ গ্রামের বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জেলা জামায়াতে ইসলামের আমির হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাবুল মিয়া কখনোই জামায়াতের নেতা বা কর্মী ছিলেন না। আপোষের একটি চেষ্টা হয়েছিল; তবে অপর পক্ষ না আসায় মীমাংসা হয়নি।’

অভিযুক্ত বাবুল মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কাউকে হয়রানি করিনি।’

Share icon