যৌন নিপীড়ন সুরক্ষায় ব্যর্থতা-জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
মঙ্গল, 23.10.2018 - 04:52 AM
Share icon
Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যৌন নিপীড়ন সুরক্ষা দিতে না পারার ব্যর্থতা শিকার করে নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইল অস্ট্রেলিয়া। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট ভবনের সামনে প্রায় এক হাজারের মতো মানুষ জড়ো হয়। এসময় পার্লামেন্টে ভবনে দেয়া এক ভাষণে দেশটিতে শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী মরিসন। পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতাও এসময় নিপীড়িতদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। দেশটিতে শিশু যৌন নিপীড়ন নিয়ে পাঁচ বছরের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুগ যুগ ধরে দেশটিতে কয়েক লাখ শিশু শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার হন। এরই প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট।

প্রধানমন্ত্রী মরিসন তার দেয়া আবেগপ্রবণ এক ভাষণে বলেন, ‘অবশেষে আজ আমরা আমাদের ভুল স্বীকার করতে পারছি এবং শিশুদের জন্য আমাদের যে ভুল তার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি আমরা। তাই ভুক্তভোগীদের কাছে নতমুখে দাঁড়াতে হবে এবং তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আমাদের।’ এসময় প্রধানমন্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এর জন্য সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘কেন আমাদের শিশুদের জন্য আমরা ভালোবাসা-দেখাশোনা আর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনি? কেন তাদের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করা হলো? উত্তর দেওয়ার ভান করলে তা কেবল নষ্টামো হবে।’ ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে স্কট মরিসন যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন সাবেক ও বর্তমান রাজনীতিবিদদের চোখে পানি দেখা যায়।

এছাড়াও পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা বিল শর্টেন বলেন, ‘কোনও ভুলকেই সঠিক বলে প্রমাণ করা যায় না। কিন্তু আজ আমরা আমাদের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।’ এসময় পার্লামেন্ট সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিশনের পাঁচ বছর ধরে চালানো ওই তদন্তে দেখা যায়, মোট ৪০৯টি যৌন নিপীড়নের ঘটনার মধ্যে ১২২টি সরাসরি কিংবা আংশিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘটেছে। এরমধ্যে ক্যথলিক চার্চ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্পোর্টস ক্লাবও রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে তদন্তের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে কমিশন।

 

 

Share icon