শেরপুরে হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা উদ্বোধন করলেন হুইপ আতিক

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
বুধ, 06.05.2020 - 04:20 AM
Share icon
Image

স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশে করোনার ভাইরাসের প্রভাবে শ্রমিক সংকট এবং স্বল্প সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষকের পাকা ধান ঘরে তুলতে শেরপুরে কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আধুনিক এ যন্ত্রে একইসাথে মাড়াই-ঝাড়াই করে ধান বস্তাবন্দি করা যায়। ৫ মে মঙ্গলবার সকালে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের হাওড়া গ্রামে কৃষক আব্দুল হাই এর ৩ একর জমির পাকা বোরো ধান এ মেশিনের মাধ্যমে কাটা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই মেশিন দিয়ে ধানকাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি।

Image

এসময় হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তূকি দেওয়ায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। কৃষকরা যাতে কৃষি যন্ত্রপাতি সুলভে ব্যবহার করতে পারে এজন্য ৫০ শতাংশ ভর্তূকি দিচ্ছে সরকার।

তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্যমুল্য পায়, এজন্য ইতোমধ্যেই সরকারিভাবে বোরো ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারি গুদামের জন্য ২৬ টাকা কেজি দরে প্রতিমণ ধানের দাম ১ হাজার ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া মধ্যস্বত্ব ভোগীরা যাতে সুবিধা না পায় এজন্য মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে শেরপুরে এবার ধান কেনা হচ্ছে।

Image

এসময় শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, ভাতশালা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুন্নাহার, শহর আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, চেম্বার পরিচালক অজয় চক্রবর্তী জয়, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার করিম, মোজম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, দুপুরে শহরের নামা শেরিরচর এলাকায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এই যন্ত্রের মাধ্যমে ধানকাটা কর্মসূচি পরিদর্শন করেন।

Image

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, ১৮ লাখ টাকা মুল্যের কম্বাইন্ড হারভেস্টার যন্ত্রটি ৫০ শতাংশ ভর্তৃকি মুল্যে স্থানীয় এক কৃষক ৯ লাখ টাকায় কিনেছেন। সদরে এ ধরনের ৯টি কম্বাউন্ড হারভেস্টার সহ জেলায় ৩৩ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ভর্তূকি মুল্যে দেওয়া হয়েছে। এ যন্ত্রের মাধ্যমে এক একর জমির ধান কাটতে সময় লাগে মাত্র দেড় ঘন্টা এবং খরচ হয় মাত্র ৬ হাজার টাকা। কৃষকরা স্থানীয়ভাবে যোগাযোগ করে কিংবা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে তাদের ধান কাটার ব্যবস্থা করা হবে।

শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে জানান, এই মৌসুমে ধান উৎপাদনের যে অবস্থা তাতে বাম্পার ফলন আশা করছি। জেলায় এবার ৮৯ হাজার ৬৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার বোরোর উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে চালের আকারে, ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৭ মে.টন।

Share icon