১০লক্ষ ভক্তের জন্য প্রস্তুত শেরপুরে খাজাবাবা ফরিদপুরীর দরবার শরীফ

স্টাফ রিপোর্টার
শনি, 18.02.2023 - 11:09 AM
Share icon
Image

শেরপুর জেলার পাকুরিয়ায় হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী’র মহা পবিত্র বিশ্ব ওরশ শরীফ আজ ভোর থেকে শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং দেশের বাইরে থেকে এ উপলক্ষে প্রায় ১০লক্ষ ভক্ত আশেকান উপস্থিত হবেন বলে জানা গেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার ভোর থেকে শুরু হয়ে ২১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ দিন ব্যাপী ওরশে নামাজ, তেলাওয়াত, ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, খাজাবাবার রওজা শরীফ জিয়ারত ও আখেরী মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। শুধু ইসলাম ধর্ম নয়, অন্যান্য ধর্মের ভক্তরাও তাদের জন্য করা আলাদা প্যান্ডেলে এসে জড়ো হচ্ছেন। জাকের পার্টি চেয়ারম্যান পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী সমবেতদের সাক্ষাৎ ও নসিহত দান করবেন।

ওরশ সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য নিজস্ব ৫ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জাকের পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ সংঘঠন ও শাখার কর্মীরা। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দরবার শরীফের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে টানানো হয়েছে শামিয়ানা, সুসজ্জিত তোরন, দমকল বাহিনী, মেডিকেল ইউনিট।

ইয়া আল্লাহু ইয়া রাহমানু ইয়া রাহিমু, ইয়া রহমাতাল্লিল আলামিন ধ্বনিতে মুখরিত হবে পুরো ওরস প্রাঙ্গণ। ওরসের ঐতিহ্য অনুযায়ী এবারও পৃথক তাঁবুতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও সৃষ্টিকর্তার আরাধনায় মগ্ন হবেন। এবারও এ আয়োজন সফল করতে ওজু, এবাদত-বন্দেগি, আহার, বিশ্রাম, নিরাপত্তা, ট্রাফিকসহ মোট ৬০টি উপ-কমিটির কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। সারাদেশ থেকে বিশ্ব ওলীর আবির্ভাব মঞ্জিলে কয়েক হাজার বাসে ভক্তরা একত্রিত হন। এসময় নফল ইবাদত, তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহর রহমত কামনা ও বিশ্বনবীর স্মরণে মোরাকাবা-মোশাহেদা ও ওয়াজ-নসিহত অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা বলেন, ওরশের আশ পাশের এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের কয়েক হাজার নিরাপত্তা কর্মী অংশগ্রহণ করেছে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ও পর্যাপ্ত সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত মেহমানদের জন্য তিন বেলা খাবার, পানি এবং পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, খাজা এনায়েতপুরী তার আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারকে নিজ সান্নিধ্যে নিতে তৎকালীন বৃটিশ আমলে পাকুরিয়ার গ্রামের বাড়িতে তশরীফ রেখেছিলেন। তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১০ বছর। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর দরবার শরীফে নিয়ে যায়। সেখানে টারা ৪০ বছর সর্বস্ব উজাড় করে ত্যাগ, তিতিক্ষা সঙ্গী করে সুকঠিন খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে দেন।

Share icon