শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ওসির হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

সম্পাদক-প্রকাশকঃ মারুফুর রহমান মারুফ
সোম, 13.08.2018 - 06:54 AM
Share icon
ঝিনাইগাতী প্রতিনিধিঃ
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার দারুল ইসলাম দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোমাইয়া (১৫) ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল।
রবিবার বিকেলে উপজেলার ঝিনাইগাতী সদর গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া এই কিশোরী স্থানীয় দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটায় গাজীপুরের কোনাবাড়ির কাসেমপুর এলাকার এক যুবকের (২৫) সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সংবাদ জানতে পেরে ঝিনাইগাতী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের আয়োজন দেখতে পান। পরে কিশোরীর পরিবার ও বরপক্ষের লোকজনকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করতে বলেন। অন্যথায় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি তাঁদের জানান। ওসির কথা মেনে দুই পক্ষের অভিভাবকেরা এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীটি এ প্রতিবেদককে জানান, এ বিয়েতে তার কোনো সম্মতি ছিল না। কিন্তু তার বাবা একজন দর্জি। তাই পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে সে রাজী হয়েছিল। পড়ালেখা করে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সে বিয়ে করবে না বলে জানায়। ঝিনাইগাতী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর বিয়ে দেবেন না মর্মে কনে ও বরপক্ষের পরিবারের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।
Share icon