শেরপুরে সাবেক ইউপি সচিবসহ ৩ জন কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
বুধ, 10.05.2023 - 12:29 PM
Share icon
Image

শেরপুরে সাবেক ইউপি সচিব আজিজুল হক তার ছেলেদের সাথে নিয়ে আপন ভাতিজাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সচিবসহ ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে আদালত। গত ৭ মে রবিবার ওই আদেশ দেয় আদালত।

তাদের জেল হাজতে প্রেরণের পর ভিকটিমের পরিবারের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। গত ১১ মার্চ শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ঘিনাপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে ওই সংগর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন গুরুতর আহত হন। পরে তিন জনকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল ও ১ জনকে জামালপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, লছমনপুরের ঘিনাপাড়া মধ্যপাড়া গ্রামে মো. আজিজুল ইসলামের সঙ্গে তার ভাই মো. কফিল উদ্দিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার আপোষ মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। মো. আজিজুল ইসলাম একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় তিনি বেশি প্রভাব বিস্তার করেন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেন বিধায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।

এর জের ধরে একাধিক সময় মারমুখি অবস্থা তৈরি হয়। এর জের ধরে ১১মার্চ তার ছেলেদের নিয়ে তার ভাই ও ভাতিজার উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে দুই পক্ষের মোট ৬ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে এবং অপর ৪জন হাসপাতালে ভর্তি হন।

আব্দুল লতিফ বলেন, পূর্ব হইতে জমিজমার বিষয় নিয়ে সচিবের পরিবারের সাথে তাদের বিরোধ চলতেছিল। তারা তাদের বসতবাড়ির নিকট আমাদের একটি লেবুর বাগানে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর বসায়। এই বিষয়ে তাদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়। কিন্তু তারা উল্টা ধারালো রামদা, লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে আমাদের গালাগাল শুরু করে। আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনায় মো. মাহবুব আলম (৩২), মিজানুর রহমান (৩৫), মোছা. কণিকা আক্তার (২৫) ও মোছা. রুজিয়া বেগম (৪০) গুরুতর আহত হয়। পরে শেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলাম।

Share icon