শেরপুরে প্রেম কাহিনীর বলি আরাফাতের লাশ ৫ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন
![](/sites/default/files/styles/extra_large/public/image/2023-05/InShot_20230521_192058588.jpg?itok=gKw2fzlD)
শেরপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে দাফনের ৫ মাস পরে ইয়াসিন আরাফাত (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ২১ মে (রবিবার) সকালে শহরের নওহাটা পৌর কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আল আমিন উপস্থিত ছিলেন। নিহত ইয়াসিন পৌর শহরের নওহাটা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মন্টু মিয়ার নাতি ও কামরুজ্জামান টিক্কার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইয়াসিনের সাথে পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো তার ফুপাতো বোনের সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের সেই প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। ফলে গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি. নিজ বসতঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে ইয়াসিন। ওই ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরে ইয়াসমিনের লাশ নওহাটা পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কিন্তু ইয়াসিনের পরিবারের দাবি, তার প্রেমিকা এবং প্রেমিকার পরিবার নানাভাবে প্ররোচিত করে ইয়াসিনকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে। তাদের প্ররোচনাতেই আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা করেছে ইয়াসিন। পরে মৃতের মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে গত ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রি. ইয়াসিনের প্রেমিকা সেই ফুফাতো বোনসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- সি আর ১৮/২০২৩, ধারা-৩০৬/ ৩৪ দঃ বিঃ)।
পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্তভার অর্পণ করা হয় সিআইডিকে। ঘটনার বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের আবেদন করে সিআইডি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আল আমিন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করছি। আমার উপস্থিতিতে সিআইডির টিম ওই কিশোরের লাশ উত্তোলন করে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। মরদেহ মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে প্রেরণ করা হবে।"