শেরপুরে ছাত্রদলের নয়া কমিটি; প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
মঙ্গল, 05.12.2023 - 02:40 AM
Share icon
Image

শেরপুর জেলা ছাত্রদলের নয়া কমিটি ঘিরে ছাত্রদলের একাংশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিএনপির সরকার পতনের একদফা আন্দোলন বাস্তবায়নে দলীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা অনেক ছাত্রদল নেতা পদবঞ্চিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন। আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শওকত হোসেন অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের হুয়াটসএ্যাপে তিন পৃষ্ঠার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির কপি সরবরাহ করেন তিনি। তবে বিএনপির এই সঙ্কটময় সময়ে কমিটি ঘোষনা করে নেতাদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করায় আন্দোলনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল। 

বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গতকাল ৩ ডিসেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত ৮ সদস্য বিশিষ্ট শেরপুর জেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলীর একক সিদ্ধান্তে এই কমিটি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে জেলার একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, নতুন কমিটি গঠন করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ তৈরির সময় এখন নয়। বরং সবাইকে সাথে নিয়ে আন্দোলনে মনোযোগী হওয়া দরকার। জেলা ছাত্রদলের এমন কোন ব্যার্থতা দৃশ্যমান নাই যার কারনে এখন নতুন নেতৃত্ব সামনে আনতে হবে।

ভিডিও বক্তব্যে তিনি বলেন, পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কের কারনে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করতে হচ্ছে। ২০১৮ সালের আংশিক জেলা কমিটি ঘোষণার পর ২০২১ সালে আমি ২৭৯ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেছি। সকল থানা, শহর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও কলেজ গুলোর অধীন ক্লাস কমিটি সম্পন্ন করেছি। কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্ব ও কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী পালন করে আসছি। 

সর্বশেষ ২৮শে অক্টোবর ঢাকায় মহা সমাবেশে নেতাকর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি, আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছি এবং আহত হয়েছি। ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের সাথে মিথ্যা দুটি মামলায় আসামী হয়েছি। চলমান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপনে থেকেও হরতাল অবরোধ সফল করতে স্ব-শরীরে এবং নেতাকর্মীদের দিয়ে প্রতিনিয়ত মিছিল, মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। শেরপুর জেলা ছাত্রদলের মত একটি শক্তিশালী ইউনিটকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার মানসে একটি চক্র এমন কাজ করেছে। তার দাবি, আমাদের ব্যার্থতা থাকলে সকলের অংশগ্রহনে সিভি আহ্বান করে নতুন কমিটি করলে নেতাদের মধ্যে এই ক্ষোভ আর থাকবে না।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, আমি এই বিষয়টি একেবারেই অবগত নই। ছাত্রদলের সভাপতি আন্দোলনে সক্রিয় আছে। গত ২৮ তারিখের মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা মামলায় সে আসামী। এক্টিভ থাকার পরেও কেন বাদ পরলো আমি নিজেও জানিনা। যার ফলে আমি নিজেও আশ্বর্য হয়েছি। আর আন্দোলনের এই মহুর্তে কমিটিও দেয়ার কথা না। এক্টিভ না থাকলে একটা কথা ছিলো। সে তো এক্টিভ। সেই জন্য আমার কাছে মনে হয়, এই কমিটির কারনে শেরপুরে আন্দোলন ব্যাহত হবে।এবং সাংগঠনিক ভাবে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও নাই বলে তিনি জানান।

Image

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

​​​​​

Share icon