নিজের প্রতিষ্ঠিত স্কুলেই চাকরি নেই শিক্ষকের; প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার
বৃহস্পতি, 08.02.2024 - 06:18 PM
Share icon
Image

শেরপুরে নিজে ৫০ শতক জমি দিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রায় এক যুগ বিনা বেতনে চাকরি করে অবশেষে তার চাকরি এমপিও না হওয়া এবং স্কুল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভোক্তভোগী এক শিক্ষক সহ এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম শাহাদাত হোসেন। ৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার জঙ্গলদি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহানের খামখেয়ালিপনা এবং প্রধান শিক্ষিকার দাবীকৃত দশ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। তবে প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও করেছেন ভোক্তভোগী ওই শিক্ষক।

Image

শাহাদাত হোসেন মানববন্ধনে বলেন, স্কুলের জমি দাতা হিসেবে ২০১২ সালে অস্থায়ী সহকারী শিক্ষক হিসেবে জঙ্গলদী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান। ২০২০ সালে ঐ স্কুলটি এমপিও হয় এবং শাহাদাত হোসেনকে বাদ দিয়ে সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদেরকে বেতনভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শাহাদাত হোসেন আদালতের শরণাপন্ন হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১১ই নভেম্বর মহামান্য আদালত শাহাদাত হোসেনকে চাকরিতে বহাল এবং বেতন এমপিও করার জন্য প্রধান শিক্ষিকাকে নির্দেশনা দেন। প্রধান শিক্ষিকা তার বেতন এমপিও এবং চাকরিতে পুনরায় নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান আমাকে চাকরিতে যোগদান করাননি। এছাড়াও তিনি বলেন, আমার নিজের নামের জমিতে গাছ লাগানো হলেও সেটা স্কুলের দাবি করে সেই গাছ প্রধান শিক্ষক গুন্ডাপান্ডা দিয়ে কেটে ফেলেছে।

Image

ঐ স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক আব্দুস সুবাহান বলেন, শাহাদাত হোসেন আমাদের সাথেই বিনা বেতনে চাকরি করেছেন। এমনকি স্কুলের জন্য জমিও দান করেছেন। শাহাদাতের পক্ষে উচ্চ আদালতের ডিগ্রি রয়েছে কিন্তু তার পরেও তাকে চাকরিতে বহাল না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আসছে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১২ সালে শাহাদাত হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয় এটা সত্য। কিন্তু তার সার্টিফিকেটে সমস্যা থাকায় তার বেতন এমপিও করা সম্ভব হয়নি। দশ লক্ষ টাকা ঘুষ এবং আদালতের রায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। এবং গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ময়মনসিংহ বিভাগীয় ডিডি মহোদয়কে লিখিত দিয়েছেন বলে শুনেছি। তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Share icon